Course Content
RBU MA Geography Study notes (4th SEM)
    About Lesson

    Concept of Hazards and Disasters:

    দুর্যোগ হল এমন একটি ঘটনা যা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, প্রাণহানি, অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং পরিবেশগত বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। এটি একটি সম্প্রদায়ের নিজস্ব সম্পদ ব্যবহার করে মোকাবেলা করার ক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যায়।

    উদাহরণ: ভূমিকম্প, বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, জ্বালামুখী অগ্ন্যুৎপাত, দাবানল, মহামারী ইত্যাদি।

    বিপর্যয় হল দুর্যোগের ফলে সৃষ্ট ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, প্রাণহানি, অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং পরিবেশগত বিপর্যয়।

    উদাহরণ: ভূমিকম্পের ফলে ভবন ভেঙে পড়া, বন্যার ফলে ফসল ও সম্পত্তির ক্ষতি, খরার ফলে খাদ্য সংকট, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ঘরবাড়ি ভেঙে পড়া এবং প্রাণহানি ইত্যাদি।

    UNISDR (ইউনাইটেড নেশনস ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ফর ডিজাস্টার রিডাকশন) এর মতে-

    দুর্যোগ হল “একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বা ঘটনা যা অর্থনীতি, সমাজ এবং বাস্তুতন্ত্রের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, যার মধ্যে প্রাকৃতিক কারণ এবং প্রাকৃতিক কারণগুলির সাথে যুক্ত মানবিক কারণ উভয়ই রয়েছে।”

    বিপর্যয় হল “বিপজ্জনক ঘটনার কারণে যে কোনও মাত্রায় কোনও সম্প্রদায় বা সমাজের কার্যকারিতায় গুরুতর ব্যাঘাত ঘটানো, যার ফলে ব্যাপক মানবীয়, বস্তুগত, অর্থনৈতিক বা পরিবেশগত ক্ষতি হয় যা ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায় বা সমাজের নিজস্ব সম্পদ ব্যবহার করার ক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যায়।”

    এই দুটি শব্দের মধ্যে পার্থক্য বোঝা জরুরি। দুর্যোগ একটি বিপর্যয়ের পূর্বসূরী; তবে, সমস্ত দুর্যোগ অনিবার্যভাবে বিপর্যয়ের দিকে পরিচালিত করে না।

    Characteristics of Hazards:

    1. উৎপত্তিঃ দুর্যোগের বিভিন্ন উৎস থাকতে পারে, যা প্রাকৃতিক, প্রযুক্তিগত বা মানবসৃষ্ট হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ।
    ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, বন্যা, খরা, দাবানল এবং চরম আবহাওয়ার মতো প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়। প্রযুক্তিগত দুর্যোগগুলি মানুষের ক্রিয়াকলাপ এবং প্রযুক্তিগত ব্যর্থতা থেকে উদ্ভূত হয়, যার মধ্যে রয়েছে শিল্প দুর্ঘটনা, পরিবহন দুর্ঘটনা এবং রাসায়নিক ছড়িয়ে পড়া। মানব-সৃষ্ট দুর্যোগগুলি ইচ্ছাকৃতভাবে মানুষের দ্বারা সৃষ্ট হয়, যেমন যুদ্ধ, সন্ত্রাসবাদ এবং নাগরিক অস্থিরতা।

    2. মাত্রাঃ ন্যূনতম প্রভাব সহ স্থানীয় ঘটনা থেকে শুরু করে ধ্বংসাত্মক পরিণতি সহ বড় আকারের বিপর্যয় পর্যন্ত কোনও বিপদের তীব্রতা উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ছোট ভূমিকম্প নগণ্য ক্ষতির কারণ হতে পারে, অন্যদিকে একটি বড় ভূমিকম্প ব্যাপক ধ্বংসের কারণ হতে পারে।

    3. ফ্রিকোয়েন্সিঃ বিপদের ঘটনার হারও উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়। মৌসুমী বন্যা বা দাবানলের মতো কিছু বিপদ ঘন ঘন ঘটে, আবার সুপারনোভার মতো অন্যান্য বিপদ খুব কমই ঘটে।

    4. পূর্বাভাসযোগ্যতাঃ একটি বিপদের ঘটনার পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষমতা প্রস্তুতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিছু বিপদ, যেমন হারিকেন, আবহাওয়ার নিদর্শনগুলির উপর ভিত্তি করে মাঝারি নির্ভুলতার সাথে পূর্বাভাস দেওয়া যেতে পারে, অন্যগুলি, যেমন ভূমিকম্প, অত্যন্ত অপ্রত্যাশিতভাবে ঘটে থাকে।

    5. স্থানিক বিস্তারঃ একটি বিপদের দ্বারা প্রভাবিত অঞ্চলটি ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হতে পারে, একটি ছোট, স্থানীয় অঞ্চল, একটি নির্দিষ্ট অঞ্চল বা এমনকি সমগ্র বিশ্বকে প্রভাবিত করে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ভূমিধ্বস একটি গ্রামকে প্রভাবিত করতে পারে, অন্যদিকে একটি সুনামি সমগ্র উপকূলরেখা জুড়ে বিধ্বংসী পরিণতি ঘটাতে পারে।

    দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের মধ্যে পার্থক্যঃ

    দুর্যোগ (Disaster) শব্দটি প্রাচীন ইতালীয় ডায়জেস্ত্রো থেকে মধ্যযুগের ফরাসী ডেজাস্ত্রে থেকে উদ্ভূত হয়েছে। দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-

    ১। অস্বাভাবিক পরিস্থিতি যখন হঠাৎ স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ছন্দ পতন ঘটায়, তখন তাকে দুর্যোগ বলে। অন্যিদিকে দুর্যোগের প্রভাবে ব্যাপক আকারে প্রাণহানী, প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পদ ধ্বংস হওয়া কে বিপর্যয় বলে।

    ২। আধুনিক প্রযুক্তি ও পরিকল্পনার সাহায্যে দূর্যোগ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। অন্যদিকে বিপর্যয় কে নিয়ন্ত্রন করা যায় না বরং উপযুক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থার সাহায্যে ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ কমানো যায়।

    ৩। দূর্যোগ জীবনযাত্রা কে রুদ্ধ না করলেও অল্প বিস্তার জীবনযাত্রা কে ব্যাহত করে। অন্যদিকে বিপর্যয় ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা সম্পূর্ণ ভাবে রুদ্ধ হয়ে যায়।

    ৪। দুর্যোগ ক্ষুদ্র স্কেলে ঘটে থাকে। অন্যদিকে বিপর্যয় বৃহৎ স্কেলে সংঘটিত হয়।

    ৫। দুর্যোগের ফলে প্রাণহানী প্রায় হয় না বললেই চলে। অন্যদিকে বিপর্যয়ের ফলে বহুল সংখ্যক মানুষের প্রাণ হানির সম্ভাবনা থাকে।

    ৬। দুর্যোগের সঙ্গে বৃহদাকার ক্ষয় ক্ষতি যুক্ত থাকে না। অন্যদিকে কোন স্থানে বিপর্যয় সংঘটিত হলে প্রাকৃতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যাপক হারে ক্ষতি হয়।

    ৭। দুর্যোগের উদাহরণ হল ধ্বস, মাঝারি তীব্রতার ভূমিকম্প, খরা, শিলাবৃষ্টি প্রভৃতি। অন্যদিকে প্রবল গতিবেগ সম্পন্ন ঘূর্ণিঝড়, প্রবল তীব্রতার ভূমিকম্প, পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ প্রভৃতি বিপর্যয়ের অন্তর্ভুক্ত।

    Bookmark
    0% Complete
    error: Content is protected !!
    Scroll to Top